সিনিয়র রিপোর্টার | প্রতিদিনবাংলা.কম
গতকাল আনুমানিক রাত ৭.৩০ ঘটিকায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানা আওতাধীন ভারগাঁও গ্রামের নাওড়াভিটা আটখাম্বা নামক স্থানে ঘটনাটি সংঘটিত হয়। ঘটনা সূত্রে জানা যায় চৌরাপাড়া গ্রাম থেকে যাত্রীবেশে তিনজন ডাকাত ভারগাঁও নাওড়াভিটা আট খাম্বা নামক স্থানে যাওয়ার জন্য অটোরিকশায় উঠে এবং আটখাম্বায় এসে বাড়ির সামনে নামিয়ে দেওয়ার জন্য আহত অটো চালক রফিক (৪৫) কে অনুরোধ করে তাকে গলির ভিতরে নিয়ে যায়। চতুর পাশে বাড়িঘর থাকলেও জায়গাটি ছিল খুবই নীরব এবং অন্ধকার। এক পর্যায়ে ভাড়া দেওয়ার অজুহাতে অটো থেকে তিনজন নেমে একজন পেছন থেকে রামদা বের করে আহত অটো চালক রফিককে গলায় কোপ দেওয়ার চেষ্টা করে। তাৎক্ষণিক রফিক তার দুই হাত দিয়ে রামদা ধরে ফেলে। রামদার আঘাতে তার দুই হাত জখম হয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হলেও ডাকাতের ঐ সদস্যকে তিনি ছাড়েননি। এক পর্যায়ে প্রচুর দস্তা দস্তী ও চিল্লাচিল্লির কারণ আশেপাশের লোকজন ছুটে আসতে দেখে ডাকাতের দুই জন সদস্য একজনকে রেখে ঐ স্থান থেকে পালিয়ে যায়। অবশেষে অটো চালক রফিকের সাহসিকতায় একজন ডাকাত সদস্য ধরা পড়ে ও এলাকাবাসীর কাছে হস্তান্তর করতে সক্ষম হয়। রফিকের দুই হাতে রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ার কারণে দ্রুত তাকে রূপসী মেডিকেলে পাঠানো হয়।
ছবিতে আহত অটো চালক রফিক
মুহূর্তের মধ্যে এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হলে ঘটনাস্থলে প্রচুর মানুষের সমাগম ঘটে। এলাকার মানুষের ভাষ্য অনুযায়ী, মুগরাকুল বেড়িবাধ, কাজিপাড়া, ভারগাঁও, নাওড়াভিটা সহ আশেপাশের এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত অটোরিকশা, মোবাইল, ছিনতাই এর মতো অপরাধ ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।
এই ডাকাত সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যায় তারা তিন জন্য সদস্য ছিল। সে প্রথম এই পেশায় এসেছে। তার বাবার নাম মৃত- ওয়াসিম। তার দেশের বাড়ি শরিয়তপুর বাকী দুই জনের বাড়ি মুগরাকুল এবং একজনের নাম রাসেল আরেক জনের নাম নয়ন।।
ঘটনা সংঘটিত হওয়ার সাথে সাথে 999 এ কল করে পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বিষয়বস্তু অবগত হয়ে অপরাধীকে ধরে থানায় নিয়ে যায়।
এ এলাকার বেশির ভাগ মানুষই বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করে থাকে। তাদের প্রায় সবার কর্মক্ষেত্র ঢাকা শহরে। বিশেষ করে রাতের বেলায় মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। এই এলাকাগুলাে দুই থানার আওতায় রয়েছে রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁও থানা তাই এখানকার মানুষের দাবি দুই থানার হস্তক্ষেপে এইসব অপরাধীদেরকে নির্মূল করে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির প্রদানের মাধ্যমে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে দেওয়া।