Monday, May 6, 2024
spot_img
Homeআন্তর্জাতিকহাইতির গ্যাং সহিংসতার কারনে দূতাবাস কর্মীদের সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

হাইতির গ্যাং সহিংসতার কারনে দূতাবাস কর্মীদের সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রতিদিনবাংলা.কম

উত্তর আমেরিকার ক্যারিবিয়ান দেশ হাইতি থেকে দূতাবাসের অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের বিমানযোগে দ্রুত সরিয়ে নিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে গ্যাং সহিংসতা বাড়ার কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

তবে রাজধানী পোর্ট-অব-প্রিন্সে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

ইউএস সাউদার্ন কমান্ড রোববার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাজধানী পোর্ট-অব-প্রিন্স এবং ক্যারিবিয়ান দেশ জুড়ে সহিংসতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাইতিতে মার্কিন দূতাবাস থেকে বিমানযোগে আমেরিকান কর্মীদের সরিয়ে নিতে শনিবার থেকে রোববার রাতভর অভিযান চালায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী।

অভিযানের অংশ হিসেবে অতিরিক্ত নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে বলেও কর্মকর্তারা জানান।

মার্কিন সাউদার্ন কমান্ড রোববার সকালে সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে স্টেট ডিপার্টমেন্টের অনুরোধে মার্কিন সামরিক বাহিনী পোর্ট-অব-প্রিন্সে মার্কিন দূতাবাসের নিরাপত্তা বাড়াতে একটি অপারেশন পরিচালনা করে এবং দূতাবাসের অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

এক বিবৃতিতে মার্কিন সেনাবাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ড বলেছেন, এই মুহূর্তে দূতাবাসে যেসব কর্মীদের খুব একটা প্রয়োজন নেই, তাদেরকে বিমানে করে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

তবে দূতাবাস খোলা থাকবে। দূতাবাসের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়েছে, দূতাবাস চত্বর ও বিমানবন্দরের কাছাকাছি এলাকায় সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায়, নিরাপত্তা বিবেচনায় অতিরিক্ত কর্মীদের সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

গত ৩ মার্চ দেশটির রাজধানী পোর্ট-অব-প্রিন্সের কারাগারে একটি সশস্ত্র দল হামলা চালিয়ে ১২ জনকে হত্যা করে। এ সময় ওই কারাগার থেকে ৪ হাজার বন্দি পালিয়ে যায়।

সশস্ত্র দলটি বলছে তারা, দেশের বাইরে থাকা প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরিকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করতে চান।  

পোর্ট-অব-প্রিন্সের প্রায় আশি শতাংশের নিয়ন্ত্রণ বর্তমানে এ দলটির হাতে।  

হাইতির এক সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, সপ্তাহান্তে রাজধানীতে এবং ক্রোয়েক্স ডেস বুকেটের কাছাকাছি দুটি কারাগারে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

পোর্ট-অব-প্রিন্সের কারাগারটিতে ২০২১ সালের রাষ্ট্রপতি জোভেনেল মোয়েসের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত গ্যাং সদস্যরা বন্দি ছিলেন।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি হাইতিতে কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক নিরাপত্তা বাহিনী পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা করতে নাইরোবি গেলে, গত বৃহস্পতিবার থেকে দেশটিতে সহিংসতা শুরু হয়।

সশস্ত্র দল বা গ্যাংয়ের নেতা জিমি চেরিজিয়ার যিনি  “বারবিকিউ” নামে বেশি পরিচিত; প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরিকে অপসারণের জন্য একযোগে সশস্ত্র আক্রমণের ঘোষণা দেন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments