ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | প্রতিদিনবাংলা.কম
শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় বেবী বেগম (২৮) নামে অন্তঃসত্ত্বা এক নারী হামলার শিকার হয়েছেন।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বেরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বা নারীর স্বামী ফারুক সরদার গোসাইরহাট থানায় অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, রোববার দুপুরে গোসাইরহাটের নাগেরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক খানের চাচাতো ভাই আজিজুল, এনামুল, সলেমান পূর্বেরচর গ্রামের এক স্কুলছাত্রকে মারধর করছিলেন। এ সময় ওই স্কুলছাত্রের প্রতিবেশী ফারুক সরদার বাধা দেন।
পরে বিকেলে ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক খানের নির্দেশে আজিজুল, এনামুল, সলেমানসহ ২০/২৫ জন লোক ফারুক সরদারের বাড়িতে হামলা করেন। ফারুক সরদারকে বাড়িতে না পেয়ে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেবী বেগম, বড় ভাই মোয়াজ্জেম সরদার, ভাবী জোসনা বেগম ও বোন ফাতেমা বেগমকে মারধর করেন।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অন্তঃসত্ত্বা বেবী বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
বেবী বেগমের স্বামী ফারুক সরদার বলেন, আমার এক প্রতিবেশী স্কুলছাত্রকে মোজাম্মেল চেয়ারম্যানের ভাই এবং চাচারা মারধর করছিলেন। আমি বাধা দেওয়ায় আমাকে বাড়িতে এসে তারা খোঁজ করেন। আমাকে না পেয়ে আমার বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাট করেন। আমার নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী, বড় ভাই, ভাবী ও বোনকে মারধর করেছেন। আমি এর বিচার চাই।
আহত বেবী বেগম বলেন, মোজাম্মেল চেয়ারম্যানের ভাই এক স্কুলছাত্রকে মারছিল। আমার স্বামী বাধা দেওয়ায় তারা বাড়িতে এসে তাকে খোঁজাখুঁজি করে। তাকে বাড়িতে না পেয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করে। আমাকে লাথি দিয়েছে, মারধর করেছে। আমার ভাসুর, জা ও ননদকেও মারধর করেছে। তারা এখন গোসাইরহাট হাসপাতালে ভর্তি।
অভিযোগ অস্বীকার করে নাগেরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক খান বলেন, আমি কোনোভাবেই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। যদি কোনো অন্তঃসত্ত্বা নারীর ওপর হামলা হয়, সেটা অবশ্যই ন্যক্কারজনক। প্রকৃত হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুষ্পেন দেবনাথ বলেন, একটা অভিযোগ পেয়েছি। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব।