Monday, May 6, 2024
spot_img
Homeবিনোদনআয়মান–মুনজেরিনের প্রেমের ইতি কথা

আয়মান–মুনজেরিনের প্রেমের ইতি কথা

বিনোদন ডেস্ক | প্রতিদিনবাংলা.কম

আয়মান–মুনজেরিন বছরের পর বছর ‘স্বামী–স্ত্রী কম, বন্ধু বেশি’ হয়ে থাকবেন। সর্বোচ্চ সহযোগিতা, সহমর্মিতার আর বন্ধুতার সঙ্গে এগিয়ে নেবেন টেন মিনিট স্কুল আর নিজেদের দাম্পত্য জীবন।

তাঁরা কেউ গায়ক নন, নায়ক নন, নন ক্রিকেট তারকা। তবে ২০২৩ সালের সবচেয়ে আলোচিত বিয়ের তালিকা করলে সবার ওপরে থাকবে আয়মান সাদিক–মুনজেরিন শহীদ—এই দুই শিক্ষকের নাম!

এই দুজন যখন বিয়ের ঘোষণা দিয়েছিলেন, আত্মীয়স্বজন শুনেই বলেছিলেন, ‘তা তো বটেই।’ বিষয়টা এমন, আয়মান মুনজেরিনকে বিয়ে করবেন না তো আর কাকে করবেন! কথাটা মুনজেরিনের বেলায়ও সত্য। মুনজেরিনের সম্ভাব্য বিয়ের পাত্র হিসেবে আয়মান ছাড়া আর কারও নাম মাথায় আসেনি কারোরই!

কথা ছিল ফোন করবেন বেলা সোয়া তিনটায়। সোয়া ৩টা মানে কাঁটায় কাঁটায় ৩টা ১৫ মিনিট, এক মিনিটও এদিক–সেদিক নয়, হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করলেন আয়মান সাদিক। জমে উঠল এই তারকা জুটির সঙ্গে আড্ডা।

প্রথম দেখা

আয়মান সাদিক ও মুনজেরিন শহীদের প্রথম দেখা ২০১৪ সালে। তখন সবে হাঁটিহাঁটি পা পা করে যাত্রা শুরু করেছে টেন মিনিট স্কুল। সেই সময় টেন মিনিট স্কুলের সব মিটিং হতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর (ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) একটা ঘরে। ৯ জনের ওপর ভর করে এগোচ্ছিল টেন মিনিট স্কুল। তাঁদেরই একজন মুনজেরিন। আয়মান সাদিককে প্রথম দেখায় মুনজেরিনের মনে হয়েছিল, ছেলেটা খুব মেধাবী ও পরিশ্রমী। সব সময় তাঁর মাথার ভেতর কিছু একটা চলছে। ডিজাইন করেন। অঙ্ক ভালো জানেন। মুনজেরিনকে প্রথম দেখায় আয়মানের কেমন লেগেছিল? চটপট উত্তরে প্রকাশ পেয়ে গেল আয়মানের রসবোধ, ‘অঙ্ক ভালো পারে না। হ্যাঁ, ফার্স্ট ইমপ্রেশন এটাই ছিল।’ তারপর হাসতে হাসতে বললেন, ‘তবে ইংরেজিটা ভালো পারে। আমি আবার ইংরেজি ভালো পারি না!’

মুনজেরিনের সম্ভাব্য বিয়ের পাত্র হিসেবে আয়মান ছাড়া আর কারও নাম মাথায় আসেনি কারোরই!ছবি: সংগৃহীত

অথচ দুজনের কেউই ভাবেননি, ‘বড় হয়ে’ শিক্ষক হবেন!

আয়মানের বাবা সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। আয়মানের প্রতিবেশীরা ছিলেন সেনাসদস্য। পড়াশোনা করেছেন আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে। ‘বড় হয়ে’ সেনাবাহিনীতে যোগ দেবেন, এমনটাই ইচ্ছা ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএতে ভর্তি হওয়ার পর তাঁর মনে হয়েছিল, ভালোই তো, ‘কম কষ্ট, বেশি টাকা’র কোনো একটা প্যাকেজ নিয়ে শুরু করবেন পেশাজীবন। শিক্ষক হওয়া অনেকটা শাপেবর হয়ে এসেছিল। প্রথম বর্ষে আরেক বন্ধু টিউশনি করে মাসে ১৫ হাজার টাকা আয় করতেন। তা–ই শুনে আয়মানের মনে হয়েছিল, ‘ও মাসে এত টাকা কী করে!’ নিজেও শুরু করলেন টিউশনি। আট মাসের মাথায় আয়মান টিউশনি করিয়ে লাখ টাকা আয় করা শুরু করলেন। এরপর তাঁর শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েই চলল। অনেককে একসঙ্গে পড়াতে শুরু করলেন অনলাইনে। এভাবেই আয়মান আবিষ্কার করলেন, তিনি তো শিক্ষক হিসেবে বেশ ভালো! শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে নিয়ে আয়মানের নিজেকে ‘হিরো হিরো’ মনে হতো। এরপর বাকিটা তো ইতিহাস!

এদিকে মুনজেরিনের ছোটবেলায় অনেক কিছু হতে ইচ্ছা করত। ভালো আঁকতেন। আর্কিটেক্ট হতে চেয়েছিলেন। পরিবার চেয়েছিল, মুনজেরিন মেডিকেলে পড়ুক। বোন মেডিকেলের বই পাঠিয়েছিলেন। বইয়ের ‘সাইজ’ দেখেই পিছু হটেছিলেন মুনজেরিন। ভর্তি হয়ে গেলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে। সেখান থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে বৃত্তি নিয়ে উড়াল দিলেন যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ডে। দ্বিতীয়বার ইংরেজিতে মাস্টার্স করে দেশে এসে ফিরে গেলেন টেন মিনিট স্কুলে। মুনজেরিনের মনে হলো, এটাই তাঁর কাজের জায়গা।

আয়মান বিয়ের অনুষ্ঠানে মেকআপ করেননি।ছবি: সংগৃহীত

আয়মান কেন মুনজেরিনকে বিয়ে করলেন, জানেন?

আয়মান জানান, মুনজেরিন পড়ুয়া, পরিশ্রমী আর খুবই শান্তশিষ্ট। আয়মান নাকি মোটেও ঝগড়া করতে পারেন না। তাই এ রকম একটা ‘সিম্পল, ক্ল্যাসি আর শান্তিপ্রিয়’ মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি। একটু দুষ্টুমিও করে নিলেন। বললেন, ‘আগে যেগুলো বলেছি, সেগুলো কেতাবি কথা। আসল কারণ হলো, ফ্রি ফ্রি ইংরেজি শেখার এ রকম অপূর্ব সুযোগ কে হারায়!’

আয়মানের কাছে মুনজেরিন হলো সিম্পল, ক্ল্যাসি আর শান্তিপ্রিয়’ মানুষছবি: সংগৃহীত

অন্যদিকে মুনজেরিন বললেন, ‘আমি কোনো দিন দেখিনি শত্রুরও অমঙ্গল চেয়েছে আয়মান। একজন বড় ক্ষতি করে চলে গেল, ও চুপ থেকেছে। তাঁর সম্পর্কে কোনো খারাপ কথা বলেনি। উল্টো সুযোগ পেলে আবার তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে। ও সব সময় সবার ভালো চায়। নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে অন্যের পাশে থাকে।’ এটুকু বলে মুনজেরিন একটা গল্পও বললেন। গল্পটা আয়মানের মা, মানে তাঁর শাশুড়ির কাছ থেকে শুনেছেন। আয়মান তখন অনেক ছোট। একবার আয়মানদের বাসার কাজে সাহায্যকারী নারী অনেকগুলো টাকা নিয়ে পালিয়ে যান। তখন আয়মান তাঁর মাকে বলেছিলেন, ‘মা, হয়তো উনার অনেক দরকার। উনার তুলনায় আমাদের তো যথেষ্ট আছে। উনাকে মাফ করে দাও, প্লিজ।’ মানুষ আয়মানের এই গুণই মুনজেরিনকে সবচেয়ে বেশি টেনেছিল।

কে প্রথম বললেন কথাটা?

হলুদের সাজে মুনজেরিনছবি: সংগৃহীত

প্রশ্ন শুনেই আয়মান দুষ্টুমির স্বরে বললেন, ‘কোন কথাটা?’ তারপর নিজেই বললেন, ‘তেমন কিছু নয়। আমাদের তো আসলে ১০ বছরের চেনাজানা। আশপাশে সবাই বলছিল। পরে ভেবে দেখলাম, খারাপ হয় না বিষয়টা।’ মুনজেরিন তিন বছর ধরে টেন মিনিট স্কুলের জনপ্রিয় শিক্ষক। শুরু থেকেই এই দুজনার প্রেম নিয়ে গুঞ্জন, ফিসফাস চলছিল। সেটা আয়মানের পরিবারের লোকের ভেতরেও সঞ্চারিত হয়েছিল। আয়মান সাদিকের বাবা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তাইয়েবুর রহমান একদিন মা শারমিন আক্তারকে ডেকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘আচ্ছা, ওর কি মুনজেরিনের সঙ্গে কিছু আছে? ওকে জিজ্ঞেস কোরো তো।’ আয়মানের বাবাকে বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা দিয়েছিলেন তাঁর চাচা।

পরদিন সকালবেলা আয়মানের মা সোজা ছেলের ঘরে ঢুকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আচ্ছা, তোর আর মুনজেরিনের কি বিয়ের পরিকল্পনা আছে?’ শুনে আয়মান কেবল বলেছিলেন, ‘মন্দ বলোনি। খারাপ হয় না।’ এর কিছুদিন পর আয়মান কোনো একটা কাজে ব্যস্ত। তাঁর বাবার ফোন। ফোন ধরতেই ওপাশ থেকে আয়মানের বাবা বলে বসলেন, ‘আচ্ছা, ১৯ জুলাই সেনাকুঞ্জ খালি আছে…।’ তখনো আয়মান কারও সঙ্গে বিয়ের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক আলাপেই যাননি। বাবার কথা শুনে তো আয়মান আকাশ থেকে পড়লেন। মানে মাত্র চার মাস পর…অবশ্য এই জুটি বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরেছিলেন ১৫ সেপ্টেম্বর, রাজধানীর ডিওএইচএসে, যে মসজিদে ছোটবেলা থেকে নামাজ পড়তেন, সেখানেই। পরদিন হলো গায়েহলুদ। আর ২৩ সেপ্টেম্বর সেনাকুঞ্জে হলো বিবাহোত্তর সংবর্ধনা।

তিন আয়োজনেই ‘জিরো মেকআপে’ আয়মান

আয়মান আর মুনজেরিন—দুজনেই ছোটবেলা থেকে খুব গোছানো মানুষ। তাই কাজের ব্যস্ততার ফাঁকে ফাঁকেই চলেছে সব আয়োজনের প্রস্তুতি। এক মাস ধরে চলেছে নাচ আর গানের মহড়া। তবে সহকর্মী, বন্ধুদের কেউ মুখ খোলেননি এই জুটির বিয়ে নিয়ে। আয়মান জানান, বিয়ের খরচ তাঁরা পাই পাই করে হিসাব করেছেন। হিসাবের বাইরে নাকি একটি টাকাও খরচ হয়নি। আয়মান আর মুনজেরিন—কে কোনখানে কত টাকা দেবেন, তা একেবারে সুপরিকল্পিত ছিল। আর সব সেভাবেই হয়েছে। মুনজেরিন বলেন, ‘আমরা দুজনে দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নিই। লজিস্টিকস, নিরাপত্তা, আয়োজন—এগুলো আয়মান দেখেছে। আমি কী পোশাক পরব, কোথায় কীভাবে ছবি তুলব, এগুলো দেখেছি। আমি চেয়েছি, আমরা যেমন দেখতে, তেমনই যেন লাগে। মেকআপ যেটুকু না হলেই নয়। আয়মান যোগ করলেন, ‘আমি তো তিন দিনের কোনো দিনই কোনো মেকআপ করিনি। জিরো মেকআপ। আমার বিয়ের পাঞ্জাবির দাম তিন হাজার টাকা। বিয়ে করতে গিয়ে দেখি, আমার কাছের আরেক বন্ধু একই পাঞ্জাবি পরে অনুষ্ঠানে হাজির। গায়েহলুদে যে সিল্কের পাঞ্জাবি পরেছিলাম, তার দাম সাড়ে তিন হাজার টাকা।’

বিয়ের পর প্রথম পাঁচ মাস হানিমুন তো দূরের কথা, ঢাকার বাইরেও যাওয়া হয়নি দুজনের।ছবি: সংগৃহীত

বিয়েতে কোন বিষয়টিকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছিলেন? জানতে চাইলে মুনজেরিন জানালেন যে তাঁরা দুজনে ঠিক করে রেখেছিলেন, বিয়েতে যত বিপত্তি, গন্ডগোল বা ঝামেলাই হোক না কেন, তাঁরা একজন আরেকজনের ওপর ‘প্যারা’ খাবেন না। বিয়ের আয়োজন নিয়ে এটিই ছিল দুজনের ‘টপ অব প্রায়োরিটি’।

এই সুযোগে বিয়েতে হবু বরদের একটা পরামর্শও দিলেন মুনজেরিন। বলেন, পাগড়ি না কিনে যদি সিল্কের কাপড় দিয়ে মাথায় পেঁচিয়ে নেওয়া যায়, সেটা খুব ভালো দেখায়। কেননা, বিয়েতে বরের তো পাগড়িটাই মুখ্য। সেটা পরানোর লোক ডেকে এনে তাঁকে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা দিলেই তিনি খুব সুন্দর করে মাথায় মেপে পরিয়ে দেবেন। তাতে চমৎকার দেখাবে।

গায়েহলুদে ঠিক ৩০০ জনই উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে ১৫০ জনই টেন মিনিট স্কুলের। বিয়ে–পরবর্তী সংবর্ধনায় ১ হাজার ৪০০ মানুষের আয়োজন ছিল। ২ হাজার ১০০ প্লেট খাবার সার্ভ করা হয়েছিল। আরও শ তিনেক দাওয়াত ছাড়া, খাবার ছাড়া অতিথি কেবল অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকেই মহাখুশি!

বছরের পর বছর ‘স্বামী–স্ত্রী কম, বন্ধু বেশি’ হয়ে থাকবেন।ছবি: সংগৃহীত

হানিমুনে পিছিয়ে…

হানিমুনের কথা জানতে চাইলেই আয়মান জানান, বিয়ের পর তিনি অফিশিয়াল ট্যুরে দুবার দেশের বাইরে থেকে ঘুরে এসেছেন। এখন পর্যন্ত (বিয়ের প্রথম পাঁচ মাসে) হানিমুন তো দূরের কথা, ঢাকার বাইরেও যাওয়া হয়নি দুজনের। এমনকি শ্বশুরবাড়িতেও যাওয়ার সময় করে উঠতে পারেননি এই শিক্ষক। তাই আত্মপক্ষ সমর্থন করে বললেন, এ ক্ষেত্রে তিনি বেশ পিছিয়েই আছেন। নববিবাহিত স্ত্রীকে দেশে রেখে দুবার বিদেশ ‘ভ্রমণ’ করে এসেছেন, সেটিকেও অনেকেই সুনজরে দেখছেন না। অনেকে যে সুনজরে দেখছেন না, সেটিকে সহজ, স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন আয়মান! বোঝা গেল, এ নিয়ে তাঁরও খানিকটা আক্ষেপ ছিলো। তবে শেষ খবর হলো, ফেব্রুয়ারি মাসে এই দম্পতি একসঙ্গে বেড়াতে গেছেন থাইল্যান্ড।

বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরেছিলেন যে মসজিদে ছোটবেলা থেকে নামাজ পড়তেন, সেখানেই।ছবি: সংগৃহীত

মুনজেরিন বিয়ের দিন সেজেছিলেন হালকা সাজেছবি: সংগৃহীত

সহকর্মী, বন্ধুকে জীবনসঙ্গী করার সবচেয়ে বড় সুবিধা কী?

এর উত্তরে দুজনেই একমত হলেন। বললেন, বিয়ের পর দুজনের কারও জীবনই প্রায় বদলায়নি। ৮০ শতাংশ আগের মতোই আছে। বদল বলতে আগে আলাদা আলাদা অফিসে, জিমে, দৌড়াতে যেতেন, এখন একসঙ্গে যান। আয়মান আর মুনজেরিনের বন্ধুবলয়ও এক। ফলে দাম্পত্য জীবন নিয়ে আলাদা করে ভাবতেই হয় না। সব মিলেমিশে খিচুড়ির মতো করে চলছে জীবন। খিচুড়িই, তবে সেটা জগা নয়, গোছানো খিচুড়ি। অসুবিধা বলতে আয়মান বললেন, ‘মাঝেমধ্যে যেকোনো মিটিং বা অফিশিয়াল ডিসিশনের ক্ষেত্রে কেউ কেউ হয়তো মনে করেন, আইডিয়া বা প্রস্তাবের মেরিটে নয়, আমি স্ত্রী কোটায় মুনজেরিনকে সমর্থন করছি। বা ভাইস ভার্সা। এটা একটা প্যারার বিষয়।’

মুনজেরিন আর আয়মান দুজনেই ঠিক করেছেন, ছোটখাটো বিষয়গুলো দুজনেই দিব্যি মানিয়ে নেবেন। আর একে অন্যকে বাকিদের চেয়ে বেশি পচাবেন (মজা করবেন)। বছরের পর বছর ‘স্বামী–স্ত্রী কম, বন্ধু বেশি’ হয়ে থাকবেন। সর্বোচ্চ সহযোগিতা, সহমর্মিতার আর বন্ধুতার সঙ্গে এগিয়ে নেবেন টেন মিনিট স্কুল আর নিজেদের দাম্পত্য জীবন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments