Sunday, May 19, 2024
spot_img
Home Blog

দেশে ৯ মাসে রপ্তানি আয় সাড়ে ৪৩ বিলিয়ন ডলার, প্রবৃদ্ধি ৪.৩৯ শতাংশ

export

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | প্রতিদিনবাংলা.কম

ঢাকা: চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ ৯ মাসের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৩ হাজার ৭২০ কোটি ২৬ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলারের, যা আগের বছরেরই একই সময়ের চেয়ে পাঁচ দশমিক ৫৩ শতাংশ বেশি। আগের বছরের মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে রপ্তানি হয়েছিল ৩ হাজার ৫২৫ কোটি ২৪ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার।

তৈরি পোশাক রপ্তানি আয়ের এ চিত্র একই সময়ে দেশের মোট রপ্তানি আয়ে প্রভাব ফেলেছে। ৯ মাসে মোট রপ্তানি আয় হয়েছে ৪ হাজার ৩৫৫ কোটি ৪৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার (৪৩ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার), যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে চার দশমিক ৩৯ শতাংশ বেশি।

মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) এ তথ্য প্রকাশ করে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো।

জুলাই-মার্চ ৯ মাসের মোট রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হলেও লক্ষ্যপূরণ হয়নি। জুলাই-মার্চ ৯ মাসের কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ৬২৬ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। সে হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় শতাংশ কম রপ্তানি হয়েছে।

দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক। তৈরি পোশাক রপ্তানির তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, একক মাস হিসাবে মার্চে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৪৩৪ কোটি ৬২ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার, যা আগের মাস ফেব্রুয়ারির চেয়ে কিছুটা কম। তবে আগের বছরের মার্চের চেয়ে ১১ দশমিক ৭১ শতাংশ বেশি। তৈরি পোশাক রপ্তানির এ চিত্র একক মাসের।  

মার্চ মাস পর্যন্ত তৈরি পোশাক রপ্তানির এই প্রবৃদ্ধি বৈশ্বিক বাজারের প্রেক্ষিতে খারাপ নয় মনে করছেন তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এই প্রবৃদ্ধি খুব একটা বেশি নয় আবার কমও নয়। বৈশ্বিক অর্থনীতি আসলে স্ট্রাগল করছে। কোভিডের সময় যে স্ট্রাগল শুরু হয়েছিল, সেটা যেতে না যেতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নতুন করে সমস্যা তৈরি করেছিল, সেগুলো এখনও চলছেই।

তিনি বলেন, পুরো বিশ্ববাজার আসলে ভালো নেই। পাইকারি বা খুচরা বাজারে যেখানেই বলি, এখন পর্যন্ত স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরে আসেনি। খুবই অনিয়মিতভাবে উঠা-নামা করছে।

তিনি বলেন, কোভিড মহামারীর পর রপ্তানি বাড়ার যে একটা সম্ভাবনা ছিল, সেটা আসলে আর স্থিতিশীল ছিল না। তৈরি পোশাকের বিশ্ববাজারই এখন ছোট হয়ে গেছে। এই ছোটর মধ্যেই আমরা ভালো করছি। এই অর্থে যে, ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি এখনও ধরে রাখতে পেরেছি। এই যে  প্রায় পাঁচ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আছে, এটাই হচ্ছে আমাদের প্রকৃত প্রবৃদ্ধি।

গতবছরের এই সময়ের সঙ্গে যদি তুলনা করি সেটাতে হয়তো সেইভাবে হয়নি; এইভাবে তুলনা করেও লাভ নেই। দেখতে হবে গড় প্রবৃদ্ধিটা কী।

আমরা বলছি পণ্যের বহুমুখীকরণ, বাজারের বহুমুখীকরণ আমরা করতে পেরেছি; এটি একটি দিক। আরেকটি দিক হলো, সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে। এ কারণেও আমাদের রপ্তানি আয়ও বেড়ে যাচ্ছে। হ্যাঁ এমন নয় যে, ইউনিট আকারে বেড়ে গেছে।

তথ্য বলছে, ৯ মাসে তৈরি পোশাকের ওপর ভর করে মোট রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি বজায় থাকলেও অধিকাংশ অ-প্রধান পণ্য নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে; কমে গেছে আগের বছরের চেয়ে।  

তথ্যে দেখা যায়, হিমায়িত মৎস্য রপ্তানি হয়েছে ২৯ কোটি ৯২ লাখ মার্কিন ডলারের; আগের বছরের চেয়ে কমেছে ১৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৭৯ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলারের; কমেছে ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ। পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ‍৬৫ কোটি ৯৫ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার; আগের বছরের চেয়ে কমেছে পাঁচ দশমিক ছয় শতাংশ। আরেক সম্ভাবনাময় হোম টেক্সটাইল রপ্তানি হয়েছে ৬৩ কোটি ৬৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার; আগের বছরের চেয়ে কমেছে ২৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ।

গত বছরের চেয়ে রপ্তানি বাড়ার পেছনে উল্লেখযোগ্য রপ্তানি পণ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম জুতা। জুতা রপ্তানি হয়েছে ৩৮ কোটি ৫৭ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার; প্রবৃদ্ধির হার সাত দশমিক ৬৭ শতাংশ। প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি হয়েছে ১৮ কোটি ২৮ লাখ মার্কিন ডলার; প্রবৃদ্ধির হার ১৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়েছে পাঁচ দশমিক ছয় শতাংশ; কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়েছে ৭১ কোটি ৫৮ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলারের।

গাছে ঝুলিয়ে শিরশ্ছেদ ও পুড়িয়ে হত্যা, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃশংসতা

Myanmar Army

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | প্রতিদিনবাংলা.কম

রক্তে ভেজা দুই তরুণের শরীর। কাঠের তক্তার সঙ্গে বাঁধা পা। চলছে অকথ্য নির্যাতন। একপর্যায়ে চার হাত–পা একসঙ্গে বেঁধে এবড়োখেবড়ো মাটির ওপর দিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়া হলো তাঁদের। এরপর ঝোলানো হলো গাছে। নিচে জ্বলছে আগুন। আগুনের তাপ শরীরে লাগতেই ছটফটিয়ে উঠলেন দুজন। শুরু হলো তাঁদের আর্তচিৎকার।

দুই তরুণের মৃত্যুযন্ত্রণার চিত্র এভাবেই উঠে এসেছে ইন্টারনেটে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে। তাঁরা ২১ বছর বয়সী ফোয়ে তে ও ২০ বছর বয়সী থার হাতুং। ২০২১ সালে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশটির উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলে নিজেদের পরিবার ছেড়েছিলেন তাঁরা। দেশে গণতন্ত্র ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে হাত মিলিয়েছিলেন স্থানীয় সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সঙ্গে।

আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময় গত ৭ নভেম্বর আটক হন দুজন। এরপর তাঁদেরকে কাছের একটি গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁদের নির্যাতনের পর আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেন জান্তা–সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা।

প্রশিক্ষিত সেনাসদস্যরা নিজেদের দেশের মানুষের ওপরই নৃশংসতা চালাচ্ছেন। এভাবে মানুষের জীবনের প্রতি চরম অবজ্ঞা দেখানো হচ্ছে

ফলকার টুর্ক, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার

ফোয়ে তে ও থার হাতুংকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। দেশটির অনেক অঞ্চলে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের হামলায় পিছু হটেছে জান্তা বাহিনী। প্রত্যক্ষদর্শী ও বিশ্লেষকদের ভাষ্যমতে, এমন পরিস্থিতিতে বেসামরিক মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা, শিরশ্ছেদ, অঙ্গ কেটে ফেলা, গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া ও বোমাবর্ষণের মতো নিষ্ঠুর সব পথ বেছে নিয়েছে জান্তা।  

মিয়ানমারের এই পরিস্থিতিকে ‘শেষ না হওয়া এক দুঃস্বপ্ন’ বলে উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক। তিনি বলেন, ‘প্রশিক্ষিত সেনাসদস্যরা নিজেদের দেশের মানুষের ওপরই নৃশংসতা চালাচ্ছেন। এভাবে মানুষের জীবনের প্রতি চরম অবজ্ঞা দেখানো হচ্ছে।’  

‘এতটা নির্মম মৃত্যু আশা করিনি’

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি এক সামরিক অভ্যুত্থানে মিয়ানমারে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সু চির সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতায় বসেন সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। বর্তমানে ২৭ বছর কারাদণ্ডের সাজা ভোগ করছেন সু চি।

অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে ছড়িয়ে পড়েছে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ। সামরিক সরকারের পতনের লক্ষ্যে বিক্ষোভকারীরা গড়ে তুলেছেন সশস্ত্র বিদ্রোহী দল। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মিয়ানমারের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর বিদ্রোহীরাও। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেশটির বেশ কিছু অঞ্চল দখলে নিয়েছেন তাঁরা, হয়ে উঠেছেন জান্তার জন্য বড় এক হুমকি।

৭ নভেম্বর আটক হওয়া ফোয়ে তে ও থার হাতুং ছিলেন ইয়াও ডিফেন্স ফোর্সের (ওয়াইডিএফ) সদস্য। অভ্যুত্থানের পর সশস্ত্র এই গোষ্ঠী গড়ে তুলেছিলেন জান্তাবিরোধী বেসামরিক লোকজন। আটক হওয়ার দিন ভোরের আগে একটি হাসপাতালে হামলা চালিয়েছিলেন ফোয়ে তে ও থার হাতুংসহ কয়েকজন। হাসপাতালটিতে সামরিক বাহিনীর অস্ত্রের মজুত রয়েছে বলে ধারণা ছিল তাঁদের।

৭ নভেম্বর হাসপাতালটিতে কী হয়েছিল, তা সিএনএনকে জানিয়েছেন ‘ইয়াও লে’ ও ‘নিনজা’ ছদ্মনামে ওয়াইডিএফের দুই সদস্য। হাসপাতালটি মাগওয়ে অঞ্চলের গানগাও শহরের মিয়াউক খিন ইয়ান গ্রামে। এলাকাটি জান্তার নিয়ন্ত্রণে। হামলার সময় হাসপাতালে আগুন ধরে গেলে আটকা পড়েন ওয়াইডিএফের সদস্যরা। অনেকেই আহত হন। ফোয়ে তে ও থার হাতুং বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন দল থেকে।

মিয়ানমারের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সশস্ত্র যোদ্ধারা এখন দেশটির বড় এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছেফাইল ছবি : রয়টার্স

পরে ওয়াইডিএফের কাছে খবর আসে ফোয়ে তে ও থার হাতুংকে আটক করা হয়েছে। ইয়াও লে বলেন, ‘আমরা জানতাম তাঁরা জান্তার হাত থেকে পালাতে পারবেন না। তাঁদের হত্যা করা হবে। তবে তাঁদের মৃত্যু এতটা নির্মম হবে তা আশা করিনি।’

ফোয়ে তে ও থার হাতুংয়ের হত্যাকাণ্ড নিজ চোখে দেখেছেন স্থানীয় বাসিন্দা জাও জাও। সেদিন সকালে ওই হত্যাকাণ্ড দেখতে বাড়ি থেকে তাঁদের ডেকে নিয়ে যায় জান্তা–সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা। জাও জাও বলেন, আগুনে পোড়ানের আগে জীবন ভিক্ষা চেয়েছিলেন ফোয়ে তে ও থার হাতুং। হত্যাকারীরা জবাবে শুধু বলেছিল, ‘পরের জন্মে ক্ষমা চেয়ে নিয়ো।’

জান্তার অস্বীকার, সিএনএনের অনুসন্ধান

৭ নভেম্বরের ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ নাকচ করেছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। তবে সেদিন মিয়াউক খিন ইয়ান গ্রামে তাদের ওপর যে হামলা হয়েছিল, তা স্বীকার করেছে তারা।

এক বিবৃতিতে মিয়ানমার বাহিনী বলেছে, ওই হামলা চালানো ‘সন্ত্রাসীরা’ (ওয়াইডিএফ সদস্য) ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে পিছু হটতে বাধ্য হয়। তাঁদের কাউকে জীবিত আটক করা যায়নি। আর প্রকাশিত ভিডিওটি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, দুজনকে পুড়িয়ে হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের কাছে যে অস্ত্র ছিল, সেগুলো মিয়ানমার বাহিনী কখনোই ব্যবহার করেনি।

ওয়াইডিএফের সদস্য ইয়াও লে বলেন, ‘এই গ্রামে জান্তাপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের ধ্যানধারণা এমন যে কাউকে তাঁরা যত অমানবিক ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করতে পারবেন, তত বড় বীর হয়ে উঠবেন।’

হত্যাকাণ্ডের ওই ভিডিওটি পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে সিএনএন দেখেছে, ফোয়ে তে ও থার হাতুংকে যে গাছে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়েছিল, সেটি মিয়াউক খিন ইয়ান গ্রামে হামলা হওয়া হাসপাতালটির কাছেই। আর ৭ নভেম্বর ভিডিও ধারণের সময় ওই গ্রামের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল সামরিক বাহিনীর হাতে। সেদিন জান্তাপন্থী বিভিন্ন ফেসবুক পেজ ও টেলিগ্রাম চ্যানেলে ফোয়ে তে ও থার হাতুংয়ের আটক অবস্থার ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে।

মিয়াউক খিন গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গেও কথা বলেছে সিএনএন। তাঁদের ভাষ্যমতে, ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের সময় থেকেই গ্রামটি জান্তা বাহিনীর একটি ঘাঁটি। কখনোই বিদ্রোহীরা এই ঘাঁটির দখল নিতে পারেনি।

মানবাধিকার সংস্থা অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারসের (এএপিপি) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মিয়ানমারে ১৮৬ জনকে সামরিক বাহিনী ও তাদের সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। এর মধ্যে ৮২ জনকে হত্যা করা হয়েছে গত বছরে। এই হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে ১২ জনের বয়স ১৮ বছরের নিচে। এমনকি পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুও রয়েছে। এ ছাড়া শিরশ্ছেদ করে হত্যা করা হয়েছে ২২ জনকে।  

গ্রামে মৃত্যুর ছায়া

মিয়াউক খিন ইয়ান গ্রামে শুধু ফোয়ে তে ও থার হাতুংকেই হত্যা করা হয়নি, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও তাদের সমর্থকদের আরও পাশবিক হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী হয়েছেন গ্রামটির বাসিন্দারা।

যেমন ২০২২ সালের মার্চ মাসের একটি ঘটনা। তখন গ্রামটির এক বাসিন্দাকে গাড়ির সঙ্গে বেঁধে টেনে নিয়ে হত্যা করা হয়েছিল বলে স্থানীয় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। সিএনএন যদিও তা স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি, তবে ওই গ্রামে সামরিক বাহিনীর চালানো নৃশংসতার সঙ্গে এ ঘটনা মিলে যায়।

ওয়াইডিএফের সদস্য ইয়াও লে বলেন, ‘এই গ্রামে জান্তাপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের ধ্যানধারণা এমন যে কাউকে তাঁরা যত অমানবিক ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করতে পারবেন, তত বড় বীর হয়ে উঠবেন। গ্রামে শিরশ্ছেদ, আঙুল কেটে ফেলা, শরীর থেকে কোনো অঙ্গ টেনে ছিঁড়ে ফেলার মতো ঘটনা ঘটছে।’

মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইংফাইল, ছবি: রয়টার্স

মিয়াউক খিন ইয়ান গ্রামের মতোই মিয়ানমারজুড়ে বিদ্রোহীদের দমনে সশস্ত্র যোদ্ধাদের কাজে লাগাচ্ছে জান্তা সরকার। এই সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ‘পিউ স তে’ নামে পরিচিত। বিশ্লেষকদের ভাষ্যমতে, ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের পর বেসামরিক লোকজনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে নৃশংস কিছু অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে জান্তাপন্থী এই গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে।

মিয়ানমারের স্বাধীন গবেষক কিম জলিফি বলেন, ‘এই সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গভীরভাবে জড়িত মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। তারা সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে প্রশিক্ষণ, অস্ত্র, খাবার ও সুরক্ষা পেয়ে থাকে। আর সেনাসদস্যদের সঙ্গে বিভিন্ন অভিযানে অংশ নেয়।’

মিয়াউক খিন ইয়ান গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা সিএনএনকে জানিয়েছেন, গ্রামটি সামরিক বাহিনীর ঘাঁটিতে পরিণত হওয়ার পর তাঁরা সেখান থেকে পালিয়ে যান। এমনই একজন ১৭ বছর বয়সী তরুণী ফোয়ে এই থু। গত জানুয়ারিতে গ্রাম ছেড়ে পালানোর সময় স্থলমাইন বিস্ফোরণে একটি পা হারান তিনি।

ফোয়ে এই থু বলেন, ‘গ্রামে আমাদের কড়া বিধিনিষেধের মধ্যে থাকতে হতো। জান্তাপন্থী যোদ্ধাদের নির্দেশ ছাড়া কিছুই করতে পারতাম না। গ্রাম থেকে পালানোর সময় পা হারানো নিয়ে শুরুর দিকে হতাশ লাগত। তবে এখন আর কিছু মনে হয় না। অন্তত শান্তিতে তো থাকতে পারছি। নিজেকে এখন স্বাধীন মনে হয়।’

গাজায় ত্রাণ প্রবেশের জন্য অনুমতি দিতে ইসরায়েলকে নির্দেশ

Relief in Gaza

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | প্রতিদিনবাংলা.কম

জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত দুর্ভিক্ষ এড়াতে ইসরায়েলকে গাজায় নিরবচ্ছিন্ন ত্রাণ প্রবাহ চালুর নির্দেশ দিয়েছে। খবর বিবিসির।

সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) বলেছে, ইসরায়েলকে বিলম্ব ছাড়াই জরুরি ভিত্তিতে গাজায়  প্রয়োজনীয় মৌলিক পরিষেবা এবং মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে।

কয়েক সপ্তাহের মধ্যে গাজায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে, এমন সতর্কতার পর আদালতের এ আদেশ এলো। তবে ইসরায়েল সাহায্য বন্ধ করার অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে আখ্যা দিয়েছে।

আদালতের আদেশের প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, জাতিসংঘসহ অন্যদের সঙ্গে মিলে তারা গাজায় স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথে ত্রাণ সরবরাহ বজায় রাখতে কাজ করছে। তারা নতুন নতুন উদ্যোগ নিয়ে আসছে। মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, গাজায় বর্তমান পরিস্থিতি এবং যুদ্ধ শুরুর জন্য হামাস দায়ী।

গাজায় গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে জানুয়ারিতে ইসরায়েলকে আদেশ দিয়েছিল দ্য হেগের এ আন্তর্জাতিক আদালত। এ আদেশ আরও জোরদারের আবেদন জানিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপরই নিরবচ্ছিন্ন ত্রাণ প্রবাহ চালুর নির্দেশ এলো।

আইসিজের আদেশ আইনত মানা বাধ্যতামূলক। তবে এ আদালত আদেশের বাস্তবায়ন করতে পারে না।

১৫ এপ্রিল থেকে সুলতান মেলা শুরু

Sultan fair

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | প্রতিদিনবাংলা.কম

নড়াইল: বিশ্ব বরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে ১৫ দিনব্যাপী সুলতান মেলা শুরু হবে।  

বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে এ উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জেলা প্রশাসন ও সুলতান ফাউন্ডেশনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।  

এস এম সুলতান ফাউন্ডেশনের সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাশ্বতী শীল, এস এম সুলতান ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মিকু, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আক্তার, নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট আলমগীর সিদ্দিকীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ।

বরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতান ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইলের মাছিমদিয়ায় বাবা মেছের আলী ও মা মাজু বিবির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। অসুস্থ অবস্থায় ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। প্রিয় জন্মভূমি নড়াইলের কুড়িগ্রাম এলাকায় সংগ্রহশালা চত্বরে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন সুলতান।

চিত্রশিল্পের মূল্যায়ন হিসেবে এস এম সুলতান ১৯৮২ সালে পেয়েছেন একুশে পদক, ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদক, ১৯৮৪ সালে রেসিডেন্ট আর্টিস্ট স্বীকৃতি, ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননাসহ ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার’, নিউইয়র্কের বায়োগ্রাফিক্যাল সেন্টার থেকে ‘ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট’ এবং এশিয়া উইক পত্রিকা থেকে ‘ম্যান অব এশিয়া’ সম্মাননাসহ বিভিন্ন পুরস্কার।

এই রোজায় তীব্র তাপদাহের পর কিছুটা স্বস্তির বৃষ্টি

Rain on Chittagong Road

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | প্রতিদিনবাংলা.কম

হঠাত্‍ করে রাজধানী সহ সারাদেশে তীব্র তাপদাহ চলছিল। সেই মুহুত্বে বৃহস্পতিবার বিকালে আকাশ কালো করে বৃষ্টি নেমে এলো রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।

এদিকে বিকেলের বৃষ্টির কারনে ঢাকা সহ তার আশেপাশের বিভিন্ন এলাকার ঘরফেরা মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে। রােজার মাস হওয়াতে ব্যবসায়িরা বিভিন্ন তরি তরকারি ফলমূল ও ইফতারির পসরা সাজিয়ে বসেছে ছিল। পাশাপাশি ক্রেতার সমাগমও ছিল ব্যাপক। হঠাত্‍ দমকা হাওয়া সহ আকাশ কালাে করে বৃষ্টি নামাতে সব লন্ডভন্ড হয়ে যায়। তবে এই বৃষ্টিতে ভ্যাপসা গরম কিছুটা কেটেছে, এনেছে ঠান্ডা অনুভূতি।

আবহাওয়ার ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। 

সারা দেশের রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। তবে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আজ মহান স্বাধীনতা দিবস ও স্বাধীনতা অর্জনে ৫৪ বছরে বাংলাদেশ!

Bangladesh Independence Day

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | প্রতিদিনবাংলা.কম

ঢাকা: আজ মহান স্বাধীনতা দিবস। বাঙালি জাতির জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন বাংলাদেশের স্বাধীনতা।

হাজার বছরের সংগ্রামমুখর বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জন করে।

স্বাধীন বাংলাদেশ এবার ৫৪ বছরে পা দিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।

১৭৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হওয়ার পর দীর্ঘ ১৯০ বছরে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণ ও নির্যাতনের হাত থেকে ১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষ মুক্তি পেলেও পূর্ব বাংলার জনগণের ওপর নতুন করে জেঁকে বসে সামরিক জান্তা। ধর্মের ভিত্তিতে ভারতকে ভাগ করে পাকিস্তান নামের যে রাষ্ট্রের জন্ম হয়, পূর্ব বাংলা থেকে ছিল তার হাজার মাইলের ভৌগলিক বিছিন্নতা। শুধু তাই নয়, ভাষা-সংস্কৃতির কোনো মিল ছিল না বাঙালিদের সঙ্গে পাকিস্তানিদের। তা সত্ত্বেও ধর্মের উন্মাদনাকে পুঁজি করে পূর্ব বাংলাকে সঙ্গে যুক্ত করা হয় পাকিস্তানের সঙ্গে।

বাঙালির ওপর চেপে বসা পাকিস্তান রাষ্ট্রের যাত্রার শুরুতেই পূর্ব বাংলার মানুষ সীমাহীন অত্যাচার, শোষণ, নির্যাতন, নিপীড়ন, অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিকসহ সব দিক থেকে বিভিন্নভাবে বৈষমের স্বীকার হয়। বঞ্চিত হতে থাকে ন্যায্য অধিকার থেকে। তবে এই পরিস্থিতিকে তখন থেকেই মেনে নেয়নি এ ভূখণ্ডের মানুষ। পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর বৈষম্যমূলক আচরণ, নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাংলার ছাত্র, কৃষক, শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রতিবাদে নামে, আন্দোলন গড়ে তুলতে থাকে। দ্রুতই এই আন্দোলন সংগ্রামগুলো একত্রিত হয়ে জাতীয় সংগ্রামে রূপ নিতে থাকে, যা স্বাধীনতা ও মুক্তিসংগ্রামে পরিণত হয় এবং ’৭১ -এ রক্ষক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। আর বাঙালির এই আন্দোলন-সংগ্রামকে সংগঠিত ও নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

পাকিস্তানের দুঃশাসন আর বঞ্চনার বিরুদ্ধে বাঙালি জাতি শুরু থেকেই অধিকার আদায়ের আন্দোলনে নামে। দানবরূপী পাকিস্তান রাষ্ট্রের শৃঙ্খল ভেঙে বেরিয়ে আসতে বাঙালি ধাপে ধাপে আন্দোলন গড়ে তোলে। মহান ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সংগ্রামের পথ প্রশস্ত হয়। ’৫৪-তে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৬২-তে শিক্ষা আন্দোলন, ৬ দফা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭০-এর নির্বাচনসহ দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছরের ধারাবাহিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জাতি ১৯৭১ সালে এসে উপনীত হয়। পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসন, অত্যাচার নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাঙালির ধারাবাহিক আন্দোলন এক পর্যায়ে স্বাধিকার ও স্বাধীনতার আন্দোলনে পরিণত হয়।

বাঙালির এ আন্দোলনকে নেতৃত্ব দেন শেখ মুজিবুর রহমান। আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে শেখ মুজিব বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা ও বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত হন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স) দেওয়া বক্তব্যে স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতির নির্দেশ দেন। তথন থেকেই বাংলার সর্বস্তরের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আধুনিক অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ ও গণহত্যা শুরু করে। অপারেশন সার্চ লাইটের নামে গণহত্যা শুরু হলে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধুর এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম  রাষ্ট্রের।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পর পাকিস্তানের সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে। এর আগেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার চূড়ান্ত ঘোষণা বার্তা লিখে যান—‘ইহাই হয়তো আমার শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। ….চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও। ’ বঙ্গবন্ধুর এই ঘোষণা প্রথমে ইপিআরের ওয়্যারলেস মাধ্যমে প্রচারিত হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে এই বার্তা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।

বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ছাত্র, কৃষক, শ্রমিক, চাকরিজীবী, নারী, পুরুষ, বাংলার সর্বস্তরের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ২৫ মার্চ রাত থেকে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী গণহত্যা শুরু করে, বর্বরোচিত কার্যক্রম চালিয়ে যেতে থাকে। পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর সাথে যুক্ত হয়ে তাদের দোসর জামায়াতে ইসলাম, মুসলিম লীগ, রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনী গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। এর বিরুদ্ধে অসীম সাহস নিয়ে দাঁড়িয়ে যুদ্ধ করে বাঙালি। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির কাছে পরাজিত পাকিস্তানি বাহিনী ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর যৌথ কমান্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করে। মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ ও দুই লাথ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে বাঙালি জাতির চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।

জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন এই মহান স্বাধীনতা দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে যথাযথ সম্মানের সঙ্গে উদযাপিত হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় কর্মসূচির পাশাপাশি রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছে।

এটা কোন ভাস্কর্য নয়, অটোরিকশা সিলিন্ডার বিস্ফোরণে চালকের মৃত্যু!

Death of the driver

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | প্রতিদিনবাংলা.কম

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের চন্দনাইশে সিএনজিচালিত অটোরিকশা সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে আগুনে দগ্ধ হয়ে ওই অটোরিকশার চালক ভেতরেই মারা যায়।

সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেলে উপজেলার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের বরকল এলাকার গাছবাড়িয়া কলেজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত চালক আবদুস সবুর (৩৭) চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার পশ্চিম ঢেমশা গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে।

চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওবাইদুল ইসলাম জানান, সিলিন্ডার বিস্ফোরণে গাড়িটিতে আগুন লাগলে ঘটনাস্থলেই দগ্ধ হয়ে চালকের মৃত্যু হয়। সবুরের পাশে আরও একজন ছিলেন। কিন্তু তিনি বের হতে পেরেছেন।

ওসি বলেন, ‘মহাসড়কে অটোরিকশাসহ ছোট যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ। অটোরিকশাচালক মহাসড়কে পুলিশের চেকপোস্ট দেখে দ্রুত গাড়ি ঘুরিয়ে দেন। দ্রুত চলে যাওয়ার সময় বালুবাহী একটি মিনিট্রাকের সঙ্গে এর ধাক্কা লাগে। এতে মুহূর্তেই বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় গাড়িতে আগুন ধরে গেলে চালক আর বের হতে পারেননি।’

এদিকে, মিনিট্রাকটি জব্দ করা হলেও চালক পালিয়েছেন বলে জানান ওসি ওবাইদুল।

বিছানো অবস্থায় জায়নামাজ থাকলে শয়তান নামাজ পড়ে ধারনাটা ভুল

namaz

ইসলাম ডেস্ক | প্রতিদিনবাংলা.কম

নামাজের সময় মেঝেতে ব্যবহার করার বিশেষ বিছানা বা গালিচাকে জায়নামাজ বলা হয়। যার ওপর দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া হয়।

নামাজে জায়নামাজ বিছানো বাধ্যতামূলক কোনো কাজ নয়। নামাজের স্থানে ধুলোবালি বা ময়লা থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য এর ব্যবহার রয়েছে। জায়নামাজে নামাজ পড়লে সওয়াব বেশি হবে- এমনটি নয়।

নামাজের স্থান পবিত্র থাকা নামাজের অন্যতম ফরজ। সে মোতাবেক জায়নামাজও পবিত্র থাকতে হয়।

এটির আকার এমনভাবে তৈরি করা হয় যাতে মুসল্লিরা স্বচ্ছন্দে নামাজ আদায় করতে পারেন।

জায়নামাজ এক বা একাধিক ব্যক্তির উপযোগী করে তৈরি করা হয়। একাধিক ব্যক্তির ব্যবহার উপযোগী জায়নামাজ সাধারণত মসজিদ, ঈদগাহ কিংবা বড় আকারের জামাতে ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে এক ব্যক্তির ব্যবহার উপযোগী জায়নামাজ ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহৃত হয়।

অলংকরণের জন্য জায়নামাজে অনেক রকম নকশা থাকে। এতে বিভিন্ন লতাপাতা, ফুল ইত্যাদি নকশা অাঁকা করা হয়। এ ছাড়া মসজিদের ছবিও নকশায় ব্যবহৃত হয়। অনেক সময় মেহরাবের ছবি জায়নামাজের অঙ্কিত হয়। সেক্ষেত্রে জায়নামাজ বিছানোর সময় মেহরাবের ওপরের দিক কেবলার দিকে করে রাখা হয়। জায়নামাজ ইসলামি সংস্কৃতির অন্যতম নিদর্শন।

নামাজের একাগ্রতা ও ধ্যানমগ্নতা জন্য প্রতিবন্ধক না হলে ছবিযুক্ত জায়নামাজে নামাজ পড়তে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু মসজিদ কিংবা কাবার ছবি যদি কারও নামাজের ধ্যান ভেঙে দেয়- তবে তার জন্য উচিত হবে না এ ধরনের জায়নামাজে নামাজ পড়া।  

অনেকের ধারণা, নামাজ পড়ার পর জায়নামাজ বিছিয়ে রাখতে নেই। নামাজের পর জায়নামাজ বিছিয়ে রাখলে শয়তান এসে তাতে নামাজ পড়ে নেয়। এটি একটি ভুল ধারণা। তবে হ্যাঁ, নামাজ পড়া হয়ে গেলে জায়নামাজ বিছিয়ে না রাখাই ভালো। কারণ, জায়নামাজ পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র রাখা জরুরি। বিছিয়ে রাখলে তার ওপর দিয়ে চলাফেরা হবে; ফলে তা ময়লা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিংবা তাতে নাপাক লাগতে পারে।

এটা ছোট বা ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহারের জায়নামাজের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কিন্তু বড় কিংবা মসজিদে বিছানো বড় জায়ানামাজের ক্ষেত্রে পুরো মসজিদকে হেফাজত করতে হবে। বারবার তো আর পুরো জায়নামাজ উঠানো যাবে না।

তবে কোনোভাবেই এমন ধারণা করা যাবে না যে, জায়নামাজ খালি বিছিয়ে রাখতে তাতে শয়তান এসে নামাজ আদায় করে নেয়।

অনেকে কিতাব বা কোরআন শরিফের বিষয়েও এমন ধারণা পোষণ তরে থাকেন যে, তা খুলে রাখলে শয়তান এসে পড়ে নেয়। এমন ধারণা একেবারেই ভ্রান্ত ও ভুল। তবে কোরআন তেলাওয়াত বা গ্রন্থ পড়ার পর প্রয়োজন ছাড়া খুলে না রাখাই ভালো।  

অধিনায়ক শান্তর প্রথম সেঞ্চুরিতে সহজ জয় পেল বাংলাদেশের

Bangladesh Cricket

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস |প্রতিদিনবাংলাকম

হাত তুলে করলেন উদযাপন। দুর্দান্ত ব্যাটিং, অধিনায়ক হিসেবে প্রথম আর ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরির পর এমন উদযাপন শোভা পায় তাকেই। শুরুতে বোলারদের নিয়মিত উইকেট এনে দেওয়া, পরে ব্যাটিং বিপর্যয় সামলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে দুর্দান্ত জুটিতে দলকে জয় এনে দেন শান্ত।  

বুধবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ২৫৫ রানে অলআউট হযে যায় সফরকারীরা। রান তাড়ায় নেমে শুরুতে কিছুটা চাপে পড়লেও পরে ৪৪ ওভার ৪ বলেই জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ।  

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পায় শ্রীলঙ্কা। দুই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও আভিস্কা ফার্নান্দো খেলছিলেন হাত খুলে। যদিও পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই ব্রেক থ্রু পেয়ে যায় বাংলাদেশ। তানজিম হাসান সাকিব নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে আভিস্কার উইকেট তুলে নেন।  

অফ স্টাম্পের বাইরে বল ফেলছিলেন তানজিম। ব্যাটারকে খেলতে হচ্ছিল শরীর থেকে দূরে থেকে। এমন এক বলে আভিস্কার ব্যাট ছুয়ে সহজ ক্যাচ যায় উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের হাতে। ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৩৩ বলে ৩৩ রান করেন আভিস্কা। তাকে ফিরিয়েই থামেননি তানজিম সাকিব, নিজের পরের দুই ওভারে আরও দুই ব্যাটারকে ফিরিয়ে শ্রীলঙ্কার শুরুর স্বস্তি উড়িয়ে দেন।

৫ চার ও ১ ছক্কায় ২৮ বলে ৩৬ রান করে তানজিমকে পুল করতে যান নিশাঙ্কা। কিন্তু তার টাইমিংটা ঠিকঠাক হয়নি। তৃতীয় স্লিপের কাছাকাছি দাঁড়ানো সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ যায়। তানজিমের তৃতীয় ওভারে ৫ বলে ৩ রান করা সাদিরা সামারাবিক্রমার দারুণ এক ক্যাচ নেন মুশফিক।  প্রথম স্পেলে ৫ ওভার করে কেবল ২২ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন তানজিম।

১৩ রানের ভেতর তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা। তাদের রানের গতিও কমে যায়। ৩৭ বলে ১৮ রান করা চারিথ আশালাঙ্কাকে বোল্ড করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। পরে কুশল মেন্ডিস হাল ধরেন জেনিথ লিয়ানগের সঙ্গে। তাদের ৬৮ বলে ৬৯ রানের জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ।  

তাসকিনের লেন্থ বল তুলে মারতে গিয়ে মিড অফে ক্যাচ দেন কুশল মেন্ডিস। ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৭৫ বলে ৫৯ রান করেন তিনি। যদিও আরেক প্রান্তে ঠিকই টিকে থাকেন জানিথ। তিনি হাফ সেঞ্চুরি করলেও ইনিংসটা অবশ্য শেষ করে আসতে পারেননি। ৬৯ বলে ৬৭ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি।  

এর আগেই ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও মাহেশ থিকসেনাকে ফিরিয়ে শেষদিকে শ্রীলঙ্কার বড় রান করে ফেলার শঙ্কা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছিলেন তাসকিন। বাংলাদেশ যদিও ইনিংসটা শেষ করেছে অস্বস্তি নিয়েই। ৮ ওভার ৪ বলে ৪৪ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন তানজিম, তিন উইকেট পাওয়া তাসকিন ১০ ওভারে ৬০ রান দেন, শরিফুলও তিনটি উইকেট নিয়েছেন।

রান তাড়ায় নেমে শুরুটা অবশ্য একদমই ভালো হয়নি বাংলাদেশের। মাদুশাঙ্কার করা ইনিংসের প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরত যান লিটন দাস। নিজের পরের ওভারে এসে সৌম্য সরকারকেও আউট করেন মাদুশাঙ্কা। স্কয়ার লেগে সহজ ক্যাচ দেওয়ার আগে ৯ বলে ৩ রান করেন তিনি।  

তাওহীদ হৃদয়ও ফেরেন অল্পতে। ৮ বলে ৩ রান করে প্রামোদ মাদুসানের বলে বোল্ড হন তিনি। ২৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে শুরুতেই হারের শঙ্কা ভর করে বাংলাদেশের জন্য। কিন্তু তিন নম্বরে খেলতে নামা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ছিলেন একদমই ঠাণ্ডা মেজাজে।  

দুটি বড় জুটি গড়ে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যান শান্ত। প্রথমে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে ৬২ বলে ৬৯ রানের জুটি গড়েন শান্ত। বিপদ থেকে বাঁচিয়ে দেওয়া ওই জুটি ভাঙে মাহমুদউল্লাহ ফিরলে। ৩৭ বলে ৩৭ রান করে মাদুশাঙ্কার দুর্দান্ত ক্যাচের শিকার হয়ে কুমারার বলে আউট হন রিয়াদ।

কিন্তু শান্ত খেলতে থাকেন দেখেশুনে। নতুন সঙ্গী মুশফিকুর রহিমও রান এগিয়ে যান দারুণভাবে, তিনি ছুয়ে ফেলেন হাফ সেঞ্চুরি। শান্ত? অধিনায়ক হিসেবে প্রথম সেঞ্চুরিটির দেখা এদিন পেয়ে যান তিনি। বিশ্বকাপের দুটি ম্যাচ, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরে-বাইরে মিলিয়ে তিন ফরম্যাটেই এর আগে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।

তবে শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে আনুষ্ঠানিকভাবে এক বছরের জন্য অধিনায়ক করা হয় শান্তকে। ভীষণ চাপ, স্কোরবোর্ডে রান ঠিকঠাক রাখার লড়াই, উইকেটে টিকে থাকা ও জুটি গড়ার প্রয়োজন; সবকিছু ভালোভাবে সামলেই এই শতক পেলেন তিনি। সবমিলিয়ে ওয়ানডেতে এটি তার তৃতীয় সেঞ্চুরি।

শেষ অবধি তার সেঞ্চুরিটি জয়ের পথেই হয়েছে। শান্তর সঙ্গে মুশফিকুর রহিমের জুটি দলকে ভিড়িয়ে দিয়েছে জয়ের বন্দরে। ১৭৫ বলে তাদের জুটি ছিল ১৬৫ রানের। ১২৯ বলে ১৩ চার ও ২ ছক্কায় ১২২ রান করে শান্ত ও ৮৪ বলে ৭৩ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক।  

উত্তরা জমজম টাওয়ারের পাশে কাঁচাবাজারে আগুন, পুড়ে ছাই অসংখ্য দোকান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | প্রতিদিনবাংলা.কম

ঢাকা: রাজধানীর উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের কাঁচাবাজার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে অনেক দোকান।

সোমবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাত ২টা ৫ মিনিটে ওই মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। সেখানে ধাপে ধাপে ফায়ার সার্ভিসের নয়টি ইউনিট পাঠানো হয়। তাদের প্রচেষ্টায় প্রায় ৪০ মিনিট পরে রাত ২টা ৪৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর থেকে ডিউটি অফিসার রাকিবুল হাসান এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। এছাড়া হতাহতের সংবাদ পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মার্কেটে কাঁচাবাজার ছাড়াও লেপ-তোশক এবং ফার্নিচারের দোকান ছিল। যেগুলো আগুন লাগার কিছুক্ষণের মধ্যে পুড়ে গেছে।

আগুন লাগার খবরে সেখানে ছুটে যান দোকানিরা। তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মালপত্র বের করার চেষ্টা করেন। কিন্তু খুব বেশি কিছু বের করতে পারেননি বলে অনেকেই জানান।