জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়নে আইনগত ভিত্তি নিশ্চিত করতে সব রাজনৈতিক দল গণভোট আয়োজনের বিষয়ে একমত হয়েছে। তবে এই গণভোট কখন ও কীভাবে হবে, তা নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে দেশের দুটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল—বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
রোববার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দীর্ঘ ৫ ঘণ্টাব্যাপী আলোচনায় এ মতপার্থক্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
বিএনপি: নির্বাচন ও গণভোট একদিনেই
বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানান—
“জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই আলাদা ব্যালটে গণভোট নিতে হবে। এজন্য কোনো সাংবিধানিক সংশোধন লাগবে না। একটি অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমেই নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে।”
🔹 জুলাই সনদের খসড়া আগেই প্রকাশ করা হবে
🔹 সব দলের ইশতেহারে থাকবে এর উল্লেখ
🔹 জনগণের রায়ই হবে চূড়ান্ত ও বাধ্যতামূলক
সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন—
“গণভোটে জনগণ যদি ‘হ্যাঁ’ বলে, তবে সংসদ বাধ্য থাকবে সেই সনদ বাস্তবায়নে।”
জামায়াত: আগে গণভোট, পরে নির্বাচন
অন্যদিকে, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ জানান—
“নির্বাচনের আগেই গণভোট হওয়া উচিত। ভোটারদের বিভ্রান্ত না করে একটি বিষয় একবারেই স্পষ্ট করে নেওয়া ভালো।”
🔸 নভেম্বরের শেষ অথবা ডিসেম্বরেই গণভোট দাবি
🔸 জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই আয়োজনের পরামর্শ
🔸 আলাদা দিন নির্ধারণে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে বলে মত
তিনি আরও বলেন—
“এই গণভোট কখনোই চ্যালেঞ্জ করা যাবে না, পার্লামেন্টে তা প্রত্যাখ্যান করার সুযোগ থাকবে না।”
🧩ঐকমত্য কমিশনের পর্যবেক্ষণ
অধ্যাপক আলী রীয়াজ, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি জানান—
“সব রাজনৈতিক দলই গণভোটে একমত—এটা বড় সাফল্য। সময় ও বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে মতপার্থক্য থাকলেও মূল বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন—
“জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে জাতীয় সিদ্ধান্ত নিতে গণভোটের উদ্যোগ একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।”



